আজকের এই দিনে প্রতিযোগিতাপূর্ণ চাকরির বাজারে শুধু স্নাতক ডিগ্রিই একটা চাকুরি পাওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। বেশিরভাগ সময় দেখা যায়, পড়াশুনায় বরাবরই ভালো এবং কাজে দক্ষতা থাকলেও অনেক সময় চাকুরি হয় না। এর অন্যতম কারণই হলো যোগাযোগ দক্ষতার অভাব। যে কোন চাকুরির সাক্ষাৎকারে নিয়োগদাতারা আপনার যোগাযোগ দক্ষতা কতটুকু কিংবা আপনি সবার সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে পারবেন কি না এই বিষয়টা বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। তারা এমন সব প্রার্থীকে খোঁজেন যারা কর্মক্ষেত্রে অনেক বেশি চটপটে এবং কর্মঠ। এক্ষেত্রে এর আগে যারা চাকুরি করেননি কিংবা যাদের একেবারেই কোন অভিজ্ঞতা নেই তারা কিছু দক্ষতা আয়ত্ত্ব করার চেষ্টা করুন। এতে করে দক্ষতা বাড়ার পাশাপাশি আপনার চাকুরি পাওয়ার পথটাও প্রশস্ত হবে।
জেনে নিন সহজেই চাকুরি মিলবে কোন কোন দক্ষতায়-
যোগাযোগ দক্ষতা
যে কোন চাকুরি পাওয়ার পূর্ব শর্তই হলো আপনার যোগাযোগ দক্ষতা। আপনি অন্যের সঙ্গে কতটা ভালোভাবে মিশতে পারেন এটা সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে জানার চেষ্টা করেন নিয়োগকর্তার সদস্যরা। পাশাপাশি তারা আপনার লিখিত যোগ্যতাকেও আমলে নেন। তারা বিশ্বাস করেন, যোগাযোগ দক্ষতাই একজন প্রার্থীকে প্রতিযোগিতাপূর্ণ চাকরির বাজারে নির্বিঘ্নে কাজ করতে সাহায্য করবে। আর এ গুণটি ভালোভাবে আয়ত্ত্ব করতে পারলেই পেশাগত জীবনে তার পক্ষে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা সম্ভব হবে। যার ফলে পরবর্তীতে তাদের প্রতিষ্ঠানও লাভবান হবেন।
নেতৃত্ব
আজকের দিনে নেতৃত্বের জন্য ভালো রেজাল্টের প্রয়োজন পড়ে না। বরং নেতৃত্বের কোন গুণাবলী আপনার মধ্যে আছে কিনা কিংবা কাজে আপনি কতটুকু দায়িত্বশীল তা সাক্ষাৎকারেই খেয়াল করে থাকেন নিয়োগকর্তার সদস্যরা। আগে হয়তো কোন কাজে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা না থাকতে পারে কিন্তু কাজের প্রতি ভালোবাসা এবং আপনি কতটা দায়িত্বশীলভাবে কাজটি করবেন তার উপরও অনেক সময় নেতৃত্বের দেখা মেলে। কাজেই চাকরি পেতে এই গুণটিও আয়ত্ত্বে আনার চেষ্টা করুন।
টিমে কাজ করার মানসিকতা
নিয়োগকর্তারা সবসময় আপনার ব্যক্তিত্ব এবং অন্যদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে পারবেন কিনা এই বিষয়টা লক্ষ্য করে থাকেন। এজন্য তারা আপনার বাস্তব জীবন সম্পর্কে এমন কিছু প্রশ্ন (খেলাধুলায় ভালো কিনা, শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় কোন এনজিওর সঙ্গে কাজ করেছেন কিনা প্রভৃতি) করেন যাতে তারা আপনার কাজের মানসিকতা সম্পর্কে একটা পুরোপুরি ধারণা পান। কাজেই প্রতিযোগিতাপূর্ণ বাজারে টিকে থাকতে চাইলে টিমে কাজ করার একটা মানসিকতা গড়ে তুলুন।
সমস্যার সমাধান এবং বিশ্লেষণাত্মক দক্ষতা
কাজ করতে গিয়ে যে কোন সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধানে একজন প্রার্থী কী করেন কিংবা বিষয়টিকে তিনি কিভাবে ব্যাখ্যা করেন তা সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে নিয়োগদাতারা বিচার করে থাকেন। কাজেই স্বল্প সময়ে যে কোন সমস্যার সমাধান বের করার দক্ষতা অর্জন করার চেষ্টা করুন। এক্ষেত্রে পূর্বে সাক্ষাৎকার দিতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা আপনাকে সাহায্য করবে। আর যদি কোন অভিজ্ঞতাই না থাকে তবে নিজে নিজেই যে কোন সমস্যার দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করুন। এতে দক্ষতার বাড়ানোর পাশাপাশি চাকুরিও মিলবে।
স্বত:স্ফূর্তভাবে শিখুন
প্রতিযোগিতাপূর্ণ চাকরির বাজারে সুবিধা পেতে চাইলে চোখ-কান সবসময় খোলা রাখুন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় জানার পাশাপাশি নতুন কিছু উদ্ভাবনের চেষ্টা করুন। সাক্ষাৎকারে নিজেকে এমনভাবে প্রেজেন্ট করুন যাতে নিয়োগকর্তারা ভাবে আপনিই সেই ব্যক্তি যাকে তারা খুঁজছেন।
আপনি যতটুকু জানেন তার উপর নিয়োগকর্তারা যতটা না প্রভাবিত হন, তার চেয়ে বেশি খুশি হন যখন তারা দেখেন আপনি যে কোন বিষয় অন্যদের কতটা ভালোভাবে বোঝাতে পারছেন তার সক্ষমতা দেখে। কাজেই চাকুরি পেতে উপরোক্ত গুণাবলীগুলো ভালোভাবে অর্জন করার চেষ্টা করুন। আর সাক্ষাৎকারে এসব গুণাবলীগুলোর মাধ্যমে নিজেকে সঠিকভাবে তুলে ধরুন। দেখবেন আর হতাশ হতে হবে না। সেইসঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎকারেই মিলবে চাকরির সুযোগও।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জেনে নিন সহজেই চাকুরি মিলবে কোন কোন দক্ষতায়-
যোগাযোগ দক্ষতা
যে কোন চাকুরি পাওয়ার পূর্ব শর্তই হলো আপনার যোগাযোগ দক্ষতা। আপনি অন্যের সঙ্গে কতটা ভালোভাবে মিশতে পারেন এটা সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে জানার চেষ্টা করেন নিয়োগকর্তার সদস্যরা। পাশাপাশি তারা আপনার লিখিত যোগ্যতাকেও আমলে নেন। তারা বিশ্বাস করেন, যোগাযোগ দক্ষতাই একজন প্রার্থীকে প্রতিযোগিতাপূর্ণ চাকরির বাজারে নির্বিঘ্নে কাজ করতে সাহায্য করবে। আর এ গুণটি ভালোভাবে আয়ত্ত্ব করতে পারলেই পেশাগত জীবনে তার পক্ষে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা সম্ভব হবে। যার ফলে পরবর্তীতে তাদের প্রতিষ্ঠানও লাভবান হবেন।
নেতৃত্ব
আজকের দিনে নেতৃত্বের জন্য ভালো রেজাল্টের প্রয়োজন পড়ে না। বরং নেতৃত্বের কোন গুণাবলী আপনার মধ্যে আছে কিনা কিংবা কাজে আপনি কতটুকু দায়িত্বশীল তা সাক্ষাৎকারেই খেয়াল করে থাকেন নিয়োগকর্তার সদস্যরা। আগে হয়তো কোন কাজে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা না থাকতে পারে কিন্তু কাজের প্রতি ভালোবাসা এবং আপনি কতটা দায়িত্বশীলভাবে কাজটি করবেন তার উপরও অনেক সময় নেতৃত্বের দেখা মেলে। কাজেই চাকরি পেতে এই গুণটিও আয়ত্ত্বে আনার চেষ্টা করুন।
টিমে কাজ করার মানসিকতা
নিয়োগকর্তারা সবসময় আপনার ব্যক্তিত্ব এবং অন্যদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে পারবেন কিনা এই বিষয়টা লক্ষ্য করে থাকেন। এজন্য তারা আপনার বাস্তব জীবন সম্পর্কে এমন কিছু প্রশ্ন (খেলাধুলায় ভালো কিনা, শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় কোন এনজিওর সঙ্গে কাজ করেছেন কিনা প্রভৃতি) করেন যাতে তারা আপনার কাজের মানসিকতা সম্পর্কে একটা পুরোপুরি ধারণা পান। কাজেই প্রতিযোগিতাপূর্ণ বাজারে টিকে থাকতে চাইলে টিমে কাজ করার একটা মানসিকতা গড়ে তুলুন।
সমস্যার সমাধান এবং বিশ্লেষণাত্মক দক্ষতা
কাজ করতে গিয়ে যে কোন সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধানে একজন প্রার্থী কী করেন কিংবা বিষয়টিকে তিনি কিভাবে ব্যাখ্যা করেন তা সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে নিয়োগদাতারা বিচার করে থাকেন। কাজেই স্বল্প সময়ে যে কোন সমস্যার সমাধান বের করার দক্ষতা অর্জন করার চেষ্টা করুন। এক্ষেত্রে পূর্বে সাক্ষাৎকার দিতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা আপনাকে সাহায্য করবে। আর যদি কোন অভিজ্ঞতাই না থাকে তবে নিজে নিজেই যে কোন সমস্যার দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করুন। এতে দক্ষতার বাড়ানোর পাশাপাশি চাকুরিও মিলবে।
স্বত:স্ফূর্তভাবে শিখুন
প্রতিযোগিতাপূর্ণ চাকরির বাজারে সুবিধা পেতে চাইলে চোখ-কান সবসময় খোলা রাখুন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় জানার পাশাপাশি নতুন কিছু উদ্ভাবনের চেষ্টা করুন। সাক্ষাৎকারে নিজেকে এমনভাবে প্রেজেন্ট করুন যাতে নিয়োগকর্তারা ভাবে আপনিই সেই ব্যক্তি যাকে তারা খুঁজছেন।
আপনি যতটুকু জানেন তার উপর নিয়োগকর্তারা যতটা না প্রভাবিত হন, তার চেয়ে বেশি খুশি হন যখন তারা দেখেন আপনি যে কোন বিষয় অন্যদের কতটা ভালোভাবে বোঝাতে পারছেন তার সক্ষমতা দেখে। কাজেই চাকুরি পেতে উপরোক্ত গুণাবলীগুলো ভালোভাবে অর্জন করার চেষ্টা করুন। আর সাক্ষাৎকারে এসব গুণাবলীগুলোর মাধ্যমে নিজেকে সঠিকভাবে তুলে ধরুন। দেখবেন আর হতাশ হতে হবে না। সেইসঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎকারেই মিলবে চাকরির সুযোগও।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
Comments
Post a Comment
Waiting for your replied